করোনা রোধে ভ‍্যাকসিন নিতে এসে টোকেন বিভ্রাটে নাকাল

21st August 2021 9:47 pm বাঁকুড়া
করোনা রোধে ভ‍্যাকসিন নিতে এসে টোকেন বিভ্রাটে নাকাল


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  টোকেন বিভ্রাট,এই বিভ্রাটের জেরে ভ্যাকসিন নিতে সমস্যায় মেজিয়ার বাসিন্দারা কোন সমস্যা হবে না,আশ্বাস ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের।

এক হাতে ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পাওয়া ভ্যাকসিনের প্রথম টিকা করনের রশিদ,তো অন্য হাতে অনলাইনে ডাউনলোড করা কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্যাকসিনের শংসাপত্র। কিন্তু কোনটা সঠিক হাসপাতাল থেকে দেওয়া টিকাকরণের রসিদ নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের  ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা ভ্যাকসিনের শংসাপত্র। কারন দুটোতেই  রয়েছে বেশ গরমিল। হাসপাতালের দেওয়া রসিদে রয়েছে কোভ্যাকসিনের টিকা নেওয়ার উল্লেখ, তো কেন্দ্রীয় সরকারের আরেক শংসাপত্রের রয়েছে কোভি সিল্ডঃ টিকা নেওয়ার শংসাপত্র। আর এই টোকেন বিভ্রাটের জেরে দিশেহারা মেজিয়ার বাসিন্দারা। প্রখর রোদ্দুরকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও এই বিভ্রাটের জেরে ভ্যাকসিন মিলবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তা স্থানীয়দের মনে।
এই টোকেন বিভ্রাটের জেরে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে দেওয়া রশিদ এবং ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করার শংসাপত্রে ভ্যাকসিনের নামের বিভ্রাট দেখে প্রকৃত কোন টিকা তারা নিয়েছেন তা নামের সংশয়ে ভোগান্তিতে এলাকার মানুষ।বাইট রেনুপদ সিং। যদিও ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি এই টোকেন বিভ্রাটের জেরে কোনো সমস্যায় পড়বেন না স্থানীয়রা।
এই টোকেন বিভ্রাট ছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি উঠেছে শিখেই । ভ্যাকসিন নিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে গাদাগাদি অবস্থাতেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সকলেই। মুখে না আছে মাস্ক না আছে সামাজিক দূরত্বের বালাই।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।